জানুন বিপিন পত্নীর আসল পরিচয়। কপ্টার দুর্ঘটনায় ১৪ জনের মধ্যে ১৩ জনই মৃত, কারা কারা ছিলেন এই হেলিকপ্টারে? সিডিএস বিপিন রাওয়াতের চপার দুর্ঘটনায় ১৪ জনের মধ্যে ১৩ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। সূত্র মারফত এমনটাই খবর পাওয়া যাচ্ছে। যদিও এখন সরকারি তরফ থেকে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। এই হেলিকপ্টারে সওয়ার ছিলেন ১৪ জন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত।
এখন পর্যন্ত ১১ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। বাকি তিন জনকে দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁদের শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। এখনও মৃতদের পরিচয়ই সেভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে জানা গিয়েছে, তিন বাহিনীর প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই দ্রুত সেখানে পৌঁছে গিয়েছে তামিলনাড়ুর প্রশাসনিক কর্তাদের একটি দল। এদিন কপ্টার দুর্ঘটনার মুখে পড়েছেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াতের স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াত। তবে তাঁর পরিচয় কেবল সেনাপত্নী হিসেবেই সীমাবদ্ধ নয়। তিনি নিজেও যথেষ্ট স্বনামধন্যা।
দেশের সর্ববৃহত এনজিও সংস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম সংস্থা AWWA (Army Wives Welfare Association)-এর সভাপতি তিনি। সেনাকর্মীদের সন্তান, পরিবার ও স্ত্রীদের কোনও প্রয়োজনে পাশে দাঁড়ায় এই অসরকারি সংস্থাটি। এছাড়াও একাধিক সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বিপিন-পত্নী। ‘বীর নারী’ থেকে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের জন্যও কাজ করে থাকেন তিনি। সেনাদের স্ত্রীরাও যাতে স্বাবলম্বী হয়ে ওঠে সেই ‘মহিলা ক্ষমতায়নের’ কাজও সামলাতেন মধুলিকা।
হাতের কাজ, সেলাই, ব্যাগ তৈরি, রান্না করা, বেকিংয়ের বিশেষ ক্লাস নেওয়ার মতো আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করার কাজে সাহায্য করতেন তিনি। দেশের সিডিএসএর স্ত্রী হয়েও অন্যান্য সেনাদের পরিবারের স্বাস্থ্য সুরক্ষার মতো বিষয়গুলি এই সংস্থার হয়ে দেখভাল করতেন। দিল্লিতেই পড়াশুনো মধুলিকা রাওয়াতের। এরপর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক হন। এনজিও ছাড়াও ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের জন্যও কাজ করতেন মধুলিকা।